স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর নতুন করে আরও একটি প্রস্তাব সামনে আসলো তা হচ্ছে, পদ্মা-যমুনা ত্রিমুখী সেতু ও করিডোর মাহাসড়ক নির্মাণ করে দেশের তিনটি ভূ-খণ্ডকে সরাসরি যোগাযোগ নেটওয়ার্কের আওতায় আনার। সম্প্রতি গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর তা ভাইরাল হয়।

ওই প্রতিবেদনে ভিত্তি করে এ পর্যন্ত দেশের ৪টি প্রতিষ্ঠান পৃথকভাবে ইউটিউবে স্টোরি হিসেবে প্রকাশ করে। গত এক মাসেই প্রস্তাবিত এই ত্রিমুখী সেতু নির্মাণ সংক্রান্ত ইউটিউবে দর্শক ছাড়িয়েছে ১২ লাখের বেশি। অসংখ্য লাইক পড়েছে।

কয়েক হাজার মন্তব্যে ত্রিমুখী সেতুর প্রস্তাবকে যুগোপযোগী বলে আখ্যায়িত করে সরকারের প্রতি এই প্রস্তাবভিত্তিক পদ্মা-যমুনা ত্রিমুখী সেতু ও করিডোর মহাসড়ক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।

এবার প্রস্তাবিত ওই ত্রিমুখী সেতু করিডোর মহাসড়কের একটি স্পষ্ট কল্পচিত্র প্রকাশ করেছেন এর থিমদাতা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এস এম আতিয়ার রহমান। তিনি জানিয়েছেন, প্রস্তাবের উপযোগিতা সহজে বোঝানোর জন্য এ কল্পিতচিত্র তৈরি করা হয়েছে।

এছাড়া পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর সম্প্রতি পরিকল্পনা মন্ত্রী পাটুরিয়ায় আরেকটি সেতু তৈরির ব্যাপারে সমীক্ষার কথা বলেছেন এবং সেটি প্রায় শেষ দিকে বলেও উল্লেখ করেছেন।

এখানে আরেকটি সেতু না করে ভবিষ্যৎ বৃহত্তর পরিসরের চিন্তা করে দেশের তিনটি ভূ-খণ্ডকে কানেক্টিভিটির আওতায় এনে আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটানোর অভিলক্ষ্যে আরিচায় ত্রিমুখী সেতু করা ও করিডোর মহাসড়ক নির্মাণ উপযোগিতা সবচেয়ে বেশি। এই চিত্রে তা বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি ফের বলেছেন, একই পদ্মা নদীর মাত্র ৪০-৪৫ কিলোমিটারের মধ্যে আরেকটি সেতু তৈরি না করে বরং আরিচায় ত্রিমুখী সেতু নির্মাণ অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। নতুন কল্পচিত্রে স্পষ্টতই ত্রিমুখী সেতু ও করিডোর মহাসড়কের চিত্র ফুটে উঠেছে। সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম খুলনায় এলে তার কাছে এ প্রস্তাব ও কল্পিতচিত্রটি প্রদান করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।